।নূসরাত জাহান। ৪০০ বছর তার দেখা মেলেনি। আরও একগাদা ছবির সঙ্গে একদিন আচমকা পাওয়া গিয়েছিল একটি বাক্সে। তারপর ফের গায়েব! বলছিলাম রেনেসাঁ নায়ক লিওনার্দো দা ভিঞ্চির ‘ইসাবেলা ডিএস্তে’র কথা। ভিঞ্চির আঁকা ইতালির সম্ভ্রান্ত পরিবারের ওই নারীর একটি পোর্ট্রেট নিয়ে জল কম ঘোলা হয়নি। তবে জল পরিষ্কার হতে হতে এখন ঘরে ফিরে এসেছে ওটা।
২০১৩ সালের আগস্টের আগে আসলে ওটাকে খুঁজে পাওয়া ছিল প্রায় অসম্ভব একটা কাজ। ওই সময় ইতালির অর্থ-পুলিশেরা খবর পেয়েছিল ছবিটাকে পেসারো শহরের এক আইনজীবী গোপনে বিক্রি করে দিতে যাচ্ছে। দাম উঠেছে সাড়ে ৯ কোটি ইউরো। রাখা আছে সুইস ব্যাংকে। সব কিছু ঠিকঠাক। পুলিশ ছবিটা উদ্ধার করতে যাবে, এমন সময় খবর এলো ছবিটা ফের গায়েব! কোথায় গেছে কেউ জানে না। বসে থাকতে হলো ভাগ্যের অপেক্ষায়।
গত গ্রীষ্মেই আবার খোঁজ মিলল ছবিটার। একটা ইনস্যুরেন্স জালিয়াতির তদন্ত করতে গিয়ে বেরিয়ে এলো পুরো জালিয়াতিটা ওই ছবির ওপর ভিত্তি করেই হয়েছে। যা কিনা পাচার হয়ে চলে গিয়েছিল সুইজারল্যান্ডে। দীর্ঘসময় পড়ে ছিল লুগানোর একটি ভল্টে। ততদিনে কালোবাজারে ছবিটার দাম উঠেছে ১২ কোটি ইউরো। এবার আর ভুল হলো না পুলিশের। ছবিসহ পাচারকারীও হাতেনাতে ধরা পড়লো।
ছবিটা যে লিওনার্দোর আঁকা তা নিয়ে খুব একটা সন্দেহ নেই শিল্পবোদ্ধাদের। কারণ ভিঞ্চির আঁকা এই ছবিটার প্রাথমিক স্কেচ সুরক্ষিত আছে ল্যুভ জাদুঘরে। তবে বোদ্ধারা দীর্ঘদিন জানতেন না যে এই স্কেচটির একটি পেইন্টিং সংস্করণও ছিল।
রেনেসাঁ যুগের ইতালির প্রভাবশালী ব্যক্তি ফ্রান্সেসকো গোনজাগা দ্বিতীয়র স্ত্রী ছিলেন ইসাবেলা ডি’এস্তে। ওই সময় তার ছবি এঁকেছিলেন তিতিয়ান, রাফায়েল, জিয়োভান্নি বেলিনি ও ভিঞ্চি।
No Comments