Warning: Trying to access array offset on value of type bool in /home8/amjahcom/public_html/wp-content/themes/photology-themes/lib/common-function.php on line 907
by Amjad Akash, March 7, 2015 , In Graphic Design

নেপথ্যের নারীরা

[metaslider id=929]

frida_kahlo

।নূসরাত জাহান। তাঁরা কেউ স্রেফ সঙ্গী বা স্ত্রী ছিলেন না, ছিলেন আরও বেশি কিছু। তাঁরা ছিলেন পার্টনার- অপরাধের, আবেগের এবং শিল্পের। তাঁরা ছিলেন শিল্পীর জীবনের একটা বড় অংশজুড়ে। তাঁদের জীবনও ছিল না সাধারণ। ছিল প্রেম, অন্য রকম সম্পর্ক, নাটকীয়তা আর ছেলেমানুষি। এককথায় তাঁদের বলা যায় ‘শিল্পীর নেপথ্যের নারীরা’। বিশ্বের কিছু নামকরা শিল্পীর অনুপ্রেরণা কিংবা অংশী হয়ে থাকা এমন কিছু নারী চরিত্র নিয়েই এই আয়োজন।

গালা ও ডালি

বলা হয় ডালিকে পাগল হয়ে যাওয়ার হাত থেকে বাঁচিয়েছিলেন গালা। ছিলেন প্রেমিকার চেয়েও বেশি কিছু। ডালিও তার অনেক ছবিতে গালার নামসহ স্বাক্ষর করেছিলেন। শিল্পী প্রায়ই বলতেন, ‘গালা, আমার বেশির ভাগ ছবিতে কিন্তু রং নয়, ছিল তোমার রক্ত।’

ক্যামিলি ডনসিউ

মনের বিখ্যাত ‘দ্য উইম্যান ইন দ্য গ্রিন ড্রেস’-এর মডেল হয়েছিলেন এই নারী। অল্প বয়সেই মারা যান ক্যামিলি। তবে যত দিন বেঁচেছিলেন, তত দিন মনের ছবির মডেল হয়েছিলেন। মনের বেশির ভাগ গ্রামীণ ল্যান্ডস্কেপগুলোতে থাকা নারীটা তিনিই।

রোজ বিউরেট

রদিনের প্রেমে অন্ধ ছিলেন রোজ। জীবনের পাশাপাশি ছিলেন শিল্পসঙ্গীও। রদিন বলতেন, রোজ তাঁকে বুনো প্রাণীর মতো আঁকড়ে ধরে আছে। প্রেমের তীব্রতা বোঝাতেই বোধ হয় এমন বিশেষণ দিয়েছিলেন শিল্পী। ৫০ বছর একসঙ্গে থাকার পর, রোজ যখন মৃত্যুশয্যায়, তখনই আনুষ্ঠানিকভাবে বিয়ে করেন দুজন। এর দুই সপ্তাহ পরই মারা যান রোজ।

ম্যারি হরটেন্স ফিকেত

পল সিজানের ২৭টি অয়েল পোর্ট্রেটের মডেল ছিলেন ম্যারি। বিয়ে হয়েছিল দুজনের। বিচ্ছেদও। বিচ্ছেদের পরই সিজান একদিন বলে বসলেন, ‘আমার বউ শুধু সুইজারল্যান্ড আর লেমোনেড নিয়ে ভাবে।’ এত এত ছবির মডেল হওয়ার পরও সিজানের মনে হলো, তাঁর সাবেক স্ত্রী শিল্পের মর্ম বোঝে না!

জ্যাকুলিন রোক

পিকাসোর দ্বিতীয় স্ত্রী। যার পেছনে স্কুল পালানো প্রেমিকের মতো ঘুর ঘুর করতেন পিকাসো! ছয় মাস পিছু পিছু ঘুরেছেন। জ্যাকুলিনের বাড়ির সামনের দেয়ালে সাদা চক দিয়ে এঁকে দিয়েছিলেন অতিকায় এক ঘুঘুর ছবি! দুজনে পরে বিয়েও করেন গোপনে! ২০ বছর টিকেছিল তাঁদের সংসার।

ফ্রিদা কাহলো

‘আমার জীবনে দুটো বড় দুর্ঘটনা। একবার একটা স্ট্রিট কার আমাকে ধাক্কা দিয়েছিল, আরেকটা হলো দিয়েগো।’ ফ্রিদা কাহলো এমনটা বলেছেন দিয়েগোর সঙ্গে বিয়ের পর। সম্পর্কে তৃতীয় ও চতুর্থ ব্যক্তিদের আনাগোনা বেড়ে যাওয়ায় বিচ্ছেদ হয় দুজনের। তবে এক বছর পর ১৯৪০ সালেই আবার বিয়ে করেন।

 

No Comments


Leave a Reply

Your email address will not be published Required fields are marked *

You may use these HTML tags and attributes: <a href="" title=""> <abbr title=""> <acronym title=""> <b> <blockquote cite=""> <cite> <code> <del datetime=""> <em> <i> <q cite=""> <s> <strike> <strong>

*