[metaslider id=863]
।নূসরাত জাহান। শিল্প কি কখনও নিরপেক্ষ হতে পারে? মোটেই না। শিল্প সৌন্দর্যের পক্ষে, সৃষ্টির পক্ষে, মানবতার পক্ষে আর ধ্বংসের বিপরীতে। চলমান সভ্যতায় ধ্বংস শব্দটির সঙ্গে মস্তিষ্কের নিউরাল নেটওয়ার্কে অবধারিতভাবে আরেকটি শব্দ চলে আসে- গাজা। আর সেই গাজার বিধ্বংসী রূপটাকে বিশ্বের কাছে খানিকটা বিদ্রূপ করেই তুলে ধরলেন ব্যাঙ্কসি।
ব্যাঙ্কসি তার নামেই চেনা সবার কাছে। কানাগলির শিল্পী। চেহারা যার লুকিয়ে থাকে হুডের আড়ালে। স্প্রে পেইন্ট আর স্টেনসিলের এক সাহসী যোদ্ধা। ধার ধারেন না টাকা কিংবা খ্যাতির। দেয়ালে দেয়ালে এঁকে দেন মিসাইলের মতো প্রতিবাদের ছবি।
গাজাকে বলা হয় বিশ্বের একমাত্র উন্মুক্ত কারাগার। না পারে কেউ ঢুকতে, না পারে বের হতে। ব্যাঙ্কসি কী করে পারলেন? ওই যে সাহস! আন্ডারগ্রাউন্ড টানেল বেয়েই নাকি ঢুকেছেন গাজায়। বাক্সপ্যাঁটরার মধ্যে ছিল একটা ক্যামেরাও। ওটা দিয়ে বানিয়ে ফেললেন যুদ্ধবিধ্বস্ত গাজার ওপর প্রামাণ্যচিত্র।
উপহাসের ছড়াছড়ি সেই ডকুমেন্টারিতে। পর্যটকদের গাজায় ভ্রমণের আহ্বান জানিয়েছেন ব্যাঙ্কসি। প্রদর্শনীর ভেন্যু হিসেবে বেছে নিয়েছে বিধ্বস্ত দেয়াল ও দরজা। একটা দরজার সামনে এঁকে দিলেন মাথায় হাত দেওয়া গ্রিক পুরানের নায়োবিকে। যেন গাজার ধ্বংস দেখে নিজের ভেতরটাও তার বিধ্বস্ত।
আরেকটা দেওয়ালে এঁকেছেন এক নাদুসনুদুস বেড়াল। বেড়াল কেন? ব্যাঙ্কসির জবাব, “লোকে আজকাল ইন্টারনেটে কেবল নাদুসনুদুস বেড়ালের ছবিই খোঁজে।” আর এ কারণেই গাজার ভেঙে পড়া দেয়ালে অমন বেড়াল আঁকলেন! স্থানীয়রা ঠিক বুঝে উঠতে না পারলেও বোদ্ধারা লজ্জা পেয়েছেন ঠিকই।
আরেক দেয়ালে এঁকেছেন একটা মিলিটারি টাওয়ারে দোলনা বানিয়ে ঝুলছে শিশুরা। এখানেও প্রচ্ছন্ন বিদ্রূপ।
সবগুলো ছবি ও এ নিয়ে তৈরি করা ভিডিও প্রামাণ্যচিত্রটি পাওয়া যাবে ব্যাঙ্কসির ওয়েবসাইটে (www.banksy.co.uk)|
No Comments