। শিবানী কর্মকার শিলু ।
২ জানুয়ারি সারা দিনের পরিকল্পনা নিয়ে ছুটলাম পুরান ঢাকার দিকে, উদ্দেশ্য বৃত্ত আর্ট ট্রাস্ট-এর ‘ওয়ান স্কয়ার মাইল ঢাকা ২০১৪’। রিকশা গিয়ে থামল ভিক্টোরিয়া পার্কের সামনে, মানে বাহদুর শাহ পার্কে। ভেতরে প্রবেশ করতেই শিল্পী খন্দকার নাসির আহমেদের সঙ্গে দেখা। বাংলাবাজারের বেশ অনেকগুলো গাইড বই দিয়ে চারকোনা একটা স্তম্ভ তার ফাঁকে ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে শিল্পী একটি টাই বাঁধছেন। ‘বাহাদুর শাহ পার্ক! ভিক্টোরিয়া পার্ক! কিংবা ঢাকার আন্ডা ঘরে আমাগো বাল্যশিক্ষা’ শিরোনামে করা হয় এ ভিডিও ইন্সটলেশন। শিল্পীর ভাষ্যে, আমাদের ঐতিহ্যময় বাংলাবাজার এখন গাইড বইয়ের কারখানা। আমরা তথাগত শিক্ষায় শিক্ষিত হওয়ার জন্য কিছু গাইড বই মুখস্থ করি। আমাদের গন্তব্য হচ্ছে ভদ্রসমাজে টাই বাঁধা পর্যন্ত। আর এই মুখস্থবিদ্যার মাঝে প্রকৃত ইতিহাস আমাদের অজানাই থেকে যায়। আলাপ সেরে বেরোচ্ছি আর ভাবছি অপরিচিত অলিগলি খুঁজে পাব তো! না, এটা বৃত্ত আর্ট ট্রাস্টের আয়োজন বলতেই হবে। ওখান থেকে বেরোতেই রাস্তায় পায়ের ছাপ দিয়ে ম্যাপ করা এক গন্তব্য থেকে আরেক গন্ত্যবে যাওয়ার।
পুরান ঢাকার বেশ কিছু এলাকাজুড়ে আয়োজন করা হয় বৃত্ত আর্ট ট্রাস্ট-এর একদিনের এ এক্সিবিশন। আয়োজনটি হচ্ছে দ্বিতীয়বারের মতো। প্রথম হয়েছিল ২০০৯ সালে। নেদারল্যান্ডসের সংস্থা আর্টস কোলাবরেটরির সহায়তায় আয়োজিত হয় এই প্রদর্শনী।
মানষী সিনেমা হল, বাহাদুর শাহ পার্ক, পোগোস স্কুল, পাটুয়াটুলী, বাফা, বিউটি বোর্ডিং, ঈশ্বর দাস লেন, জুবিলী স্কুল মার্কেট, বড়বাড়ি, লালকুঠি, শিবমন্দির, রূপলাল হাউজ, ঢাকা কেন্দ্র, মালাকা টলা, শ্যামবাজার, শ্যামবাজার ঘাট, ফরাশগঞ্জ- এই এলাকাগুলোতে প্রদর্শিত হয় শিল্পীদের কাজ।
৪০ জন শিল্পী এতে অংশ নেন। ভিডিও, ফটোগ্রাফি, ফিল্ম, ইন্সটলেশন এবং পারফরম্যান্সের মাধ্যমে শিল্পীরা তাঁদের চিন্তাকে তুলে ধরেন। একটি এলাকার ইতিহাস, ঐতিহ্য, পরিবেশ এবং সর্বোপরি জীবন ও জীবিকার বৈচিত্র্যময়তা ও অভিজ্ঞতার আলোকে এক মাসব্যাপী পর্যবেক্ষণ, পর্যালোচনা অতঃপর উপলব্ধির মধ্য দিয়ে তার নিজস্ব প্রকাশ এই কাজের উদ্দেশ্য।
পুরান ঢাকার পরিবর্তনটা বেশ সুস্পষ্ট। পুরোনো ঘরবাড়ি রূপান্তরিত হচ্ছে বহুতল ভবনে। বিলুপ্ত হচ্ছে প্রত্নসম্পদ, ঐতিহাসিক স্থাপনা। দূষণে বিপন্ন বুড়িগঙ্গাও প্রাণহীন। মানুষের জীবনযাত্রায়-অভ্যাসে দেখা যাচ্ছে পরিবর্তনের আভাস। পুরান ঢাকার পরিবেশ, সংস্কৃতি ও ঐতিহ্যের বিলুপ্তি বা রূপান্তরের প্রক্রিয়া নিয়েই এই প্রদর্শনী।
আলাপ হয় বৃত্ত আর্ট ট্রাস্ট-এর আর্টিস্টিক ডিরেক্টর মাহবুবুর রহমান এবং কো-অর্ডিনেটর তাইয়েবা বেগম লিপির সঙ্গে। সেই সঙ্গ সুযোগ হয় তাঁদের কাজ নিয়ে কথা বলার।
‘গতবার ২ মাসের পরিকল্পনা ছিল। তখন ২ মাস ধরে পুরান ঢাকার অলিগলি ঘুরে শিল্পীরা তাদের কাজের জায়গা নির্বাচন করেন। গতবার ৮টি দেশে ভ্যানু ছিল। সাউথ এশিয়ার মধ্যে ছিল ইন্ডিয়া, পাকিস্তান, বাংলাদেশ। অন্যান্য দেশ মুলত কর্মক্ষেত্র বা শপিং মল নিয়ে কাজ করেছে। কিন্তু বাংলাদেশের প্রেক্ষাপট গতবারও ছিল ব্যতিক্রম। দেখার বিষয় যেটা, ৮টি দেশের মধ্যে সবচেয়ে বড় ছিল বাংলাদেশের প্রজেক্ট এবং মানের দিক দিয়েও বাংলাদেশ ছিল এগিয়ে। বাংলাদেশকে ওরা প্রবলভাবে এ্যাপ্রিশিয়েট করেছে। হ্যাঁ, আমরা যে জন্য পুরান ঢাকাকে বেছে নিয়েছি তা হলো, পুরান ঢাকাকে মনে হয়েছে সবচেয়ে প্রাণবন্ত। পুরান ঢাকা এখনো তার অরিজিনালিটি ধরে রেখেছে। মানুষগুলো এখনো বেশ পুরোনো ধারায় স্বকীয়। আবার এই ঐতিহাসিক শহরের পরিবর্তনটাও বেশ লক্ষণীয়। সেই একাত্তর থেকে এর ড্যামেজ শুরু হয়েছে, লুট হচ্ছে কিন্তু এর সংরক্ষণের ব্যাপারে প্রশাসনিকভাবে কোনো পদক্ষেপ নেই। এই এক্সিবিশনের মধ্য দিয়ে আমরা আবারও একবার প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষণ করতে চেয়েছি।
গতবার শিশুদের সঙ্গে নিয়ে কাজ করার একটা সুযোগ ঘটেছিল। এবার স্কুল বন্ধ থাকায় সে সুযোগ খুব একটা পাওয়া যায়নি বললেই চলে। তবে কিছু কাজ ওদের সঙ্গে যুক্ত করে করা হয়েছে। গতবার শ্যামবাজার পর্যন্ত এর বিস্তৃতি ছিল, এবার এর পরিধি বেড়ে ফরাসগঞ্জ পর্যন্ত পৌঁছেছে।
এবার আর্টিস্টরা ইন্ডিভিজুয়ালি কাজ করেছে এবং প্রত্যেকেই চ্যালেঞ্জিং কাজ করেছে। এবার নিউ মিডিয়া বেইজ কাজ হয়েছে প্রচুর। ভেন্যু পেতেও বেশ কষ্ট হয়েছে। কম সময়ে বড় ধরনের প্রেশার ছিল আর্টিস্টদের ওপর। প্রথমে মনে হয়েছিল কতটুকু সাকসেস হবে, কিন্তু সব মিলিয়ে ব্যাপারটি প্রত্যাশার ওপরে উঠে গেছে। গতবারের চেয়ে এবার লোক সমাগম বেশি ছিল। এ ব্যাপারে প্রচারের একটা ভুমিকা আছে বলা যায়। ইন্টারনেট, পত্রিকার কাভারেজ বেশ সারা ফেলেছে বলা যায়।
পাশাপাশি কাজ নিয়ে কথা বলেন শিল্পী মাহবুবুর রহমান, ‘আমার বড় হওয়া পুরান ঢাকায়। তাই দেখার ভিউটা অন্য রকম। পরিচিত সোসাইটি, চেনা অলিগলি- সব মিলিয়ে বলা যায়, নিজের ভেতরে অনেক দিনের তৈরি একটি প্রেক্ষাপট। সুন্দরবন সম্বন্ধে বলতে গেলে বলতে হয়, সুন্দরবন আমাদের সম্পদ। আমাদের নিজেদের স্বার্থেই একে রক্ষা করা আমাদের দায়িত্ব। বাঘ বা অন্যান্য পশুপাখি সবই কিন্তু আমাদের নিজেদেরই অংশ। এদেরকে আলাদা করে দেখার কিছু নেই।’
অনেকটা প্রাণের তাগিদেই একই চিন্তার কিছু মানুষ রিলিফ নিয়ে ছুটে যান সেখানে। সেখানকার দুর্দশার ভয়াবহ চিত্র প্রতিনিয়ত তাড়িত করে শিল্পীকে। বিপর্যস্ত সুন্দরবনের অসহায় প্রাণগুলোর খুব কাছ থেকে ফিরে এসেই নিজের কাজে ঝাঁপিয়ে পড়েন এই শিল্পীযোদ্ধা। সুন্দরবনে তেল ট্যাংকারডুবির প্রতিক্রিয়া নিয়ে তৈরি করেন ভিডিও ইনস্টলেশন ‘শাওয়ার উইথ ওয়েল’।
জীর্ণ বুড়িগঙ্গা থেকে বিপর্যস্ত সুন্দরবনকে নিয়ে গড়ে উঠে শিল্পী তৈয়াবা বেগম লিপির ভিডিও ইনস্টলেশন ‘ওহ ওয়াটার’। তাঁর ভাষ্যে, ‘বুড়িগঙ্গা যেমন অনেক দিন ধরেই বিপর্যয়ের মুখে, তেমনি বিশালভাবে বিপর্যয়ের সম্মুখীন আজ সুন্দরবনও এবং এত বড় একটি ক্ষতি, এখানেও প্রশাসনিক কোনো পদক্ষেপ নেই। প্রকৃতির প্রতি মমত্ববোধ আমাদের নেই বললেই চলে। সেখানকার সাধারণ জীবন হুমকির মুখে। সেটা কাছ থেকে দেখা বেশ বেদনাদায়ক। জোয়ার-ভাটার কারণে তেল পানির সঙ্গে বয়ে যাচ্ছে। আবার পানিটা যখন সরে আসছে, তেলটা গাছের শ্বাসমূলে আটকে যাচ্ছে; যা ক্ষতি হয়েছে সেটা কীভাবে পোষাবে, তা বলা মুশকিল। প্রকৃতিকে সংরক্ষণ করতে হবে তবেই প্রকৃতি আমাদের কিছু দেবে। এখানে আদান-প্রদানের একটা ব্যাপার অবশ্যই আছে।’
সংরক্ষণ এবং বুড়িগঙ্গার ড্রিম অ্যান্ড রিয়্যালিটি শিরোনামে দুটি কাজ করেন শিল্পী উত্তম কুমার রায়। বাফার সিঁড়িতে দুটি কাঠের মূর্তি ছিল, যা পুরান ঢাকার অনেক হারানো সৌন্দর্যের সঙ্গী। সেখানে রাবার কাস্টিং করে দুটি মূর্তি পুনঃস্থাপন করেন তিনি। সাধারণত সংরক্ষণ বা পুনঃস্থাপন অনেকটা বস্তুর বাস্তবতা না বুঝেই করা হয়। এতে বস্তুর ক্ষতিই হয় বরং। প্রকৃত অর্থে যেটা যে রকম আছে সে রকম অথবা এমনভাবে করা উচিত, যাতে বস্তু তার নিজস্বতা না হারায়। এই চিন্তা থেকে তিনি সংরক্ষণকাজটি করেন। বুড়িগঙ্গার ড্রিম অ্যান্ড রিয়্যালিটি, শিশুদের নিয়ে করা। ওরা বুড়িগঙ্গা নিয়ে ছবি এঁকেছে। বর্তমান সময়ের বুড়িগঙ্গা আর স্বপ্নের বুড়িগঙ্গা। ওদের কাজগুলো নিয়েই বুড়িগঙ্গার ড্রিম অ্যান্ড রিয়্যালিটি। শিশুদের দিয়ে করানোর কারণ হিসেবে বলেন, ‘আমাদের একটা প্রজন্ম প্রায় চলেই যাচ্ছে, আমি চেয়েছি শিশুদের মধ্যে একটা সম্ভাবনা ঢুকিয়ে দিতে।’
তেজস যশের স্টুডিও পুরান ঢাকার আজিমপুরে, পুরান ঢাকার আচার-আচরণের সঙ্গে হৃদ্যতা তাই অনেক দিনের। যশ বলেন, ‘ওরা সচরাচর ভাষায় খুব অবলীলায় গালি ব্যবহার করে। শুধু সখ্যের ঘাটতিতে নয়, আন্তরিকতাও উপচে পড়ে গালির পরতে পরতে। এসব গালি নতুন ঢাকায় অস্বস্তিকর হলেও ওদের জীবনের সঙ্গে অঙ্গাঙ্গিভাবে জড়িয়ে গেছে। একজনকে পাওয়া যায়, যে কবিতার মতো করে বিশটা গালি আবৃত্তি করে বলে যায়।’ এটি এবং শ্রমিক-কর্মচারীর মধ্যকার কিছু গালি, এর সঙ্গে ইসলামবাগ শুরু করে সদরঘাট আর ধোলাইখাল পর্যন্ত দীর্ঘ রাস্তায় যে সাউন্ড পেয়েছেন, তা ব্যাক গ্রাউন্ডে ব্যবহার করে সাউন্ড আর্ট তৈরি করেন শিল্পী তেজস যশ।
ইমরান সোহেল বেশ অনেক দিন ধরেই কাজ করছেন আর্কিটেকচারের স্পেস নিয়ে। এই ধারাবাহিকতা দেখা যায় তাঁর এ কাজগুলোতেও। পুরান ঢাকাকে কেন্দ্র করে ‘সহবাস ১’, ‘সহবাস ২’ ও ‘ডু’ শিরোনামের তিনটি কাজ । পুরান আর্কিটেকচার তাঁকে প্রবলভাবে স্পর্শ করে। আর সেই পুরোনো ইটের গাঁথুনিতে আধুনিক সিমেন্টের আধিপত্য, নতুন-পুরোনোর এ কৃত্রিম সহবাস তাঁর ভাবনার জগৎকে আঘাত করে বারবার।
শ্যামল চন্দ্র সরকারের শিল্পকর্মটির শিরোনাম ‘ভুলের মাশুল’। নদীমাতৃক বাংলাদেশের নদীর সৌন্দর্যকথা আজ ইতিহাসপ্রায়। এ ছাড়া নদীকে কেন্দ্র করে বেঁচে থাকে যেসব জনসমষ্টি বা অন্যান্য প্রাণীগোষ্ঠী- সবার জীবন আজ হুমকির মুখে। এরই প্রতিবাদস্বরূপ তিনি বুড়িগঙ্গায় নৌকার সমন্বয়ে ইনস্টলেশন আর্ট করেন।
পুরোনো বাড়ির উঠোন বেছে নেন শুভ সাহা, রচনা করেন পারফরম্যান্স ও ইন্সটলেশনের মাধ্যমে ‘ব্রিক অন ব্রিক ১’ ও ‘ব্রিক অন ব্রিক ২’ নামের দুটি শিল্পকর্ম। পুরান ঢাকার ঐতিহ্য তার নিজস্ব রূপ হারিয়ে আজ মলিন। পলেস্তারা আর নতুন ইট-সিমেন্টে পুরোনোকে ঢেকে দেওয়ার চেষ্টা করা হয় প্রতিনিয়ত। কিন্তু আবরণে কি আত্মরূপ ঢাকা পড়ে কখনো। এ প্রশ্নই ছুড়ে দিয়েছেন শিল্পী দর্শকের মাঝে।
পেশাগত কারণে পুরান ঢাকায় প্রতিনিয়ত বিভিন্ন অঞ্চলের লোকের সমাগম ঘটে। বিভিন্ন অঞ্চলের ভিন্ন ভিন্ন সংস্কৃতি জায়গা করে নিচ্ছে এ শহরে। ফলে এর নিজস্ব সংস্কৃতি ক্রমশ বিলুপ্ত হয়ে যাচ্ছে। ক্রমাগত এরই হাহাকার শুনতে পান শিল্পী লুৎফুন নাহার। ‘ইকো অব ওল্ড ঢাকা’ শিরোনামে তাঁর শিল্পকর্মে সেই চিন্তারই প্রকাশ ঘটান তিনি।
শিমুল দত্তের কাজ ‘আরবান রি-সাইকেল’ পুরান ঢাকা প্রতিনিয়ত রিসাইকেলের মধ্য দিয়ে তার আসল সৌন্দর্য হারাচ্ছে। সেই পীড়ন থেকেই পরিত্যক্ত বস্তু দিয়ে তিনি একটি মানব আকৃতি গড়েন। তাঁর মতে পরিবর্তনের মধ্য দিয়ে এই শহর তার অরিজিনালিটি হারাচ্ছে।
পুরান ঢাকার বাড়িগুলোতে বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন পরিবার এসেছে, থেকেছে। বিভিন্নভাবে পরিবর্তিত হয়েছে বাড়িগুলোর চেহারা। সময়কে সাক্ষী রেখে খোলা জানালাগুলো বন্ধ করা হয়েছে বারবার। বন্ধ হয়ে গেছে বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন আলোর প্রবেশপথ। ছোট ছোট জানালার অনুরূপ তৈরি করে ইনস্টলেশন আর্টের মাধ্যমে প্রতিটি পর্বের প্রতিটি সময়কে ধারণ করার ইঙ্গিত দিয়েছেন শিমুল সাহা। কাজের শিরোনাম ‘সিদ্ধান্ত কার হতে পারে’।
এ প্রদর্শনীতে আরও অংশ নেন মুনিম ওয়িসিফ, আমির ফয়সাল রুশো, আরফান আহমেদ, অসিম হালদার সাগর, মোল্লা সাগর, মোহাম্মদ আনিসুল হক, সুলেখা চৌধুরী, কামরুজ্জামান স্বাধীন, সুমন ওয়াহিদ, কবির আহমেদ মাসুম চিশতি, ইমরান হাসান পিপলু, মনির মৃত্তিক, প্রমোথেস দাস পুলক, মুস্তফা জামান, জামিল আকবর শামিম, মো. হাসানুর রহমান রিয়াজ, ঋতু সাত্তার, কেহকাশা সাবা, আয়েশা সুলতানা, পলাশ ভট্টাচার্য, সরকার প্রতিক, মো. হাসান মোরশেদ, ইয়াসমিন জাহান নূপুর, মো. জাহিদ হাসান, সঞ্জয় চক্রবর্তী, সৈয়দ তারেক রহমান, কাজী সালাউদ্দিন আহমেদ, আনিসুজ্জামান সোহেল, লায়লা শারমিন।
No Comments